বাংলাদেশ, রোববার, ৩ আগস্ট ২০২৫ ইং , ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সন্ধ্যা ৭:২৩

শিরোনাম

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে প্রমাণ-নির্ভর তথ্যের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়: যুবদল নেতৃবৃন্দ


প্রকাশের সময় :২৭ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩৫ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রমাণ-নির্ভর তথ্যের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল। একই সঙ্গে তদন্তে অভিযোগ অপ্রমাণিত হলে তা সংশোধনসহ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। 

শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবাদলিপিতে এসব কথা জানান যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। 

‘‘ঢালাও সাংগঠনিক ব্যবস্থায় ত্যাগীরাও ক্ষতিগ্রস্ত’’ শীর্ষক সমকালের প্রতিবেদনের একটি নির্দিষ্ট অংশে দলীয় কোন্দলের জের ধরে দুইজন যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন শীর্ষ দুই নেতা। 

প্রতিবাদলিপিতে যুবদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি, রিপোর্টটি তথ্যগতভাবে বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত এবং দুঃখজনকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যুবদল একটি সুগঠিত, নিয়মতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ সংগঠন। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, সংগঠনের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কখনোই অযাচিত বা ঢালাওভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং শৃঙ্খলাভঙের প্রমাণ-নির্ভর তথ্যের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অবস্থান, জনপ্রিয়তা বা রাজনৈতিক ত্যাগ নয়, বরং সংগঠনের আদর্শ, নীতি ও শৃঙ্খলা-ই সিদ্ধান্তের ভিত্তি।

তারা বলেন, তবে এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, সংগঠনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং দলীয় শৃঙ্খলায় শূন্য সহনশীলতা নীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, যার ফলে অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি ঘটতে পারে। পাশাপাশি কিছু গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট বা যাচাইবিহীন প্রতিবেদনের কারণে নেতা-কর্মীরা অতিরঞ্জিত অভিযুক্ত বা ভুলভাবে চিহ্নিতও হতে পারেন, যা অনভিপ্রেত। 

যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, যেকোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট নেতা-কর্মীরা দলের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার আওতায় আপিল করার সুযোগ রাখেন। তদন্তে অভিযোগ অপ্রমাণিত হলে তা সংশোধনসহ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করা হয় এবং পূর্বেও এমন বহু উদাহরণ রয়েছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন না করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালার আলোকে ভবিষ্যতে গণমাধ্যমসমূহ আরও তথ্যবহুল, বস্তুনিষ্ঠ ও যাচাইকৃত প্রতিবেদনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।

ট্যাগ :