স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা তার বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা তথ্য উপাত্ত ও প্রতিহিংসার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক অনৈতিক বহিষ্কারাদেশ নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তদন্ত সাপেক্ষে আদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি বহিস্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন ও দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদও জানাচ্ছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো আমাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তাও আমি এখনও জানি না। আমার নেতৃত্বে যুবদলসহ বিএনপি এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সংগঠিত থেকে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। দলীয় নেতাকর্মী, জনগণ এবং আমরা সারারাত জেগে সড়ক অবরোধ এবং থানা পাহাড়া দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী সরকার আমাকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি জানান, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই-চট্টগ্রামের কোনো থানায়, আদালতে বা জিডির মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ আছে কি না, তা প্রমাণ করা হোক। যদি থাকে, আমি আজীবনের জন্য রাজনীতি থেকে সরে যাবো। আমি একজন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী কর্মী হিসেবে আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি-আমার বিরুদ্ধে আনিত এই অভিযোগগুলো সত্য অনুসন্ধানে খতিয়ে দেখুন এবং জাতির সামনে তুলে ধরুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, আমার রাজনৈতিক জীবনে ৫৮টির বেশি মামলা হয়েছে, ১০ বার কারাভোগ করেছি। এসব ছিলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। কিন্তু কখনোই কোনো দখল বা চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেনি। অথচ এখন, দলের ভেতরের বিভাজন ও গুরুপিংয়ের শিকার হয়ে, আমাকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হলো। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দলের অভিভাবক, আমাদের শ্রদ্ধেয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান-এর প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি এই বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করে, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। আমি নির্দোষ এটা প্রমাণ হবে তদন্তেই।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ২০২৫, এমদাদুল হক বাদশাকে যুবদল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই বহিষ্কারের আগে তাকে কোনো ধরনের কারণ জানানো হয়নি, তার বক্তব্য শোনা হয়নি, এমনকি কোনো নোটিশও পাঠানো হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে-তথাকথিত একটি তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, ডিসি রোড, চান্দমিয়া মুন্সী লেইন, হক টাওয়ার’র হাজী মো. সিরাজুল হক’র পুত্র এমদাদুল হক বাদশা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমদাদুল হক বাদশার বড় মেয়ে, তাসমিনা হক নিম, বড় ছেলে মিসবাহ উল হক, ছোট ছেলে মিরাজ উল হক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ অর্থ সম্পাদক, জিয়াউল হক মিন্টু, সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, মোঃ শেখ কামাল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জসিম, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, সাবেক সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব, মোঃ হাসান, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল জলিল, বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মহানগর যুব দলের নেতা জাবেদুল হক, যুবদল নেতা, মোঃ ওসমান গনি, মোঃ আলমগীর, মোহাম্মদ রাসেল করিম রাসেল, সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, শফিউল বাসার সাজু, ওমর ফারুক রানা, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ রহিম মিনু, মোস্তফা আলম কিশোর, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শরীফ, মোঃ মহসিন, সালাউদ্দিন বাপ্পি, ইনজামামুল হক সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।