বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫ ইং , ২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বিকাল ৪:৩৬

শিরোনাম

এবার সিরিয়ায় বিমান হামলা ইসরায়েলের


প্রকাশের সময় :২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২:৩০ : অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজা এবং লেবানন যুদ্ধের রেশ না কাটতেই এবার সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী দামেস্কের সংলগ্ন কিসওয়া শহর এবং দক্ষিণাঞলীয় প্রদেশ দেরা’র বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে এই হামলা।

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “মঙ্গলবার রাতে দামেস্কের সংলগ্ন কিসওয়া শহর দক্ষিণাঞ্চলীয় দেরা প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি কমান্ড সেন্টার এবং অস্ত্রাগার ধ্বংস করেছে বিমান বাহিনী। এসব সামরিক স্থাপনা ইসরায়েল এবং তার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ছিল।”

পরে পৃথক এক বিৃবতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “আমরা সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে নতুন নীতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার এই অঞ্চলকে অসামরিকীকরণের নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ এর সঙ্গে ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা সরাসরি সম্পর্কিত।”

“সিরিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনী কিংবা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যদি ভবিষ্যতে ঘাঁটি করার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।”

সিরিয়ার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে লেবানন ও ইসরায়েলের। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল— এই সীমান্ত ব্যবহার করেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠায় ইরান; আর এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করত সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

গত নভেম্বরের শেষ দিকে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলের অভিযান শুরু সরকারবিরোধী সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামস (এইচটিএস)। সেই অভিযান শুরুর মাত্র ১২ দিনের মাথায় ৮ ডিসেম্বর পতন ঘটে বাশারের নেতৃত্বাধীন সরকারের এবং সপরিবারে দামেস্ক ছেড়ে রাশিয়া পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। বর্তমানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদে আছেন এইচটিএসের শীর্ষ নেতা আহমেদ আল শারা।

গত রোববার মিলিটারি ক্যাডেটদের সমাবেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, কুনেইত্রা, দেরা, সুইয়েইদা প্রদেশে আমরা সিরিয়ার সামরিক বাহিনী কিংবা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কোনো প্রকার তৎপরতা ও স্থাপনা আমরা সহ্য করব না। ঠিক তেমনি, সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়কে (সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানে ছড়িয়ে থাকা অমুসলিম আরবিভাষী সম্প্রদায়) লক্ষ্য করে কোনো হামলা হলে তা ও আমরা সহ্য করব না।”

সূত্র : আরটি

ট্যাগ :